স্কীলস VS সার্টীফিকেট
শেষ করে এক্সপেরিন্স নিয়ে ৯০,০০০+ টাকার জব করি (বাংলাদেশে) এবং জবের পাশাপাশি মান্থলি ১,৫০,০০০+ ইনকাম করি তখন ও সে ভালো একটা জব….
সার্টিফিকেট না পুড়িয়ে প্রফেশনাল কোন ট্রেনিং নিয়ে নিজেকে, পরিবারকে এবং দেশ কে স্বাবলম্বী করে তুলুন। আমরা অনেক সময় নিজের সফট স্কীলস এবং প্রফেশনাল স্কীলস গুলা ডেভেলপমেন্ট না করে অন্যকে দোষ দেই।
এখনকার ডিজিটাল যুগে এসে যদি বলেন আমি বেকার তাহলে তো বলার কিছু নেই। হ্যাঁ অনেক সময় সুযোগ থাকলে সামর্থ থাকে না বা সামর্থ্য থাকলে সুযোগ থাকে না। কিন্তু বাস্তবতা তো আর এই কথা শুনতে চাইবে না। লেখাপড়ার পাশাপাশি নিজেকে যে কোন একটা বিষয়ের উপর এক্সপার্ট করা বেটার। এখানকার এ সময় অনেক ট্রেনিং সেন্টার, ইন্সটিটিউট কিংবা অনেক চ্যানেল আছে যারা টেকনিক্যাল সাবজেক্ট এর উপর ট্রেনিং দিচ্ছি। সম্ভব হলে সেগুলা করেন, বাস্তবমুখী শিক্ষা গ্রহণ করা উচিৎ।
আমি আর আমার এক কাজিন (দুঃর্সম্পর্কের) দুইজন ই একই বয়সী। এক সাথেই লেখাপড়া করেছি। পার্থক্য হলো ভার্সিতে আমি প্রফেশনাল একটা সাবজেক্ট ( গ্রাফিক্স ডিজাইন) এ লেখাপড়া করেছি আর সে (কাজিন) অন্য ভালো একটা সাবজেক্ট এ লেখাপড়া করেছে যেটার ডিমান্ড আমাদের দেশে অনেক ভালো ছিল এখনো আছে। সে এমনি তে রোল ১ – ধারী স্ট্যুডেন্ট ছিল ছোট বেলা থেকে, ওর জন্য অনেক বকা আর মাইর খাইছি আম্মার হাতে -কেন আমি ভালো ছাত্র হতে পারলাম না ওর মত। যাই হোক ও আমার থেকে একটু বেশি লেখাপড়া করেছে মানে এম বি এ শেষ করেছে আমি শেষ করি নি যদিও আমার সাবজেক্ট এর মাস্টার্স নেই আমাদের দেশে(শিগ্রই আসবে এবং করবো )। অন্য সাবজেক্ট এ করি নাই কারণ রেলিভেন্ট মনে করি নাই।
মজার কথা হচ্ছে আমি যখন লেখাপড়া শেষ করে এক্সপেরিন্স নিয়ে ৯০,০০০+ টাকার জব করি (বাংলাদেশে) এবং জবের পাশাপাশি মান্থলি ১,৫০,০০০+ ইনকাম করি তখন ও সে ভালো একটা জব এ জয়েন ই করতে পারে নাই। এর পরে হয়তো লবিং করে একটা চাকরি পেয়েছে। এখন তার থেকে মিনিমাম ৭/৮ গুন বেশি ইনকাম করি।
আমার এই বাস্তব জীবনের গল্পটা কেন বললাম জানেন ?
আমার আর আমার কাজিন এর পার্থক এটাই ছিল ওঁ পুঁথিগত বিদ্যায় এক্সপার্ট ছিল আর আমি লেখাপড়ার পাশাপাশি এক্সট্রা স্কীলস এড করার দৌড়ে ছিলাম। একটু বেশি চঞ্চল ছিলাম এবং বড় স্বপ্ন।
আমাদের দেশে পুঁথিগত বিদ্যা পড়ে এক্সট্রিম লেভেল বা ফ্যামিলি নিয়ে ভালো থাকা একটু কঠিন যদি দুর্নিতি বা কালো টাকার লোভে না পরে । পুঁথিগত বিদ্যার পাশাপাশি যদি এক্সট্রা অরডিনারি স্কীলস না বাড়ান তাহলে লাভ নেই। এখন প্রতিযোগিতার যুগ যে যুগ কে কত টা এডভান্স, বা এগিয়ে থাকতে পারে। স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা দেশ কে দোষ দিয়ে লাভ নেই যদি নিজে স্কীলড না হন – তাদের কি করার।
আমি আমার চাকরি জীবনে কোথাও সার্টিফিকেট দেখাই নি ইভেন যেখানে জব করেছি চাওয়ার সাহস পাইনি। কারণ আমার কাজ (পোর্টফোলিও) দেখয়ে জবের অফার করেছে, সার্টিফিকেট দেখে না। কই আমি তো কখনোও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা দেশ কে দোষ দেই নি। যদি প্রয়োজন ও পড়তে দেই নি ।
তবে অবশ্যই লেখাপড়ার পাশাপাশি সফটস্কীলস গুলা জানা বা এক্সট্রা অরডিনারি হওয়া উত্তম কেন না আপনি যে সেক্টর ই থাকেন না কেন বা যে সাবজেক্ট এই পড়েন না কেন, অই সেক্টর এর জন্য নিজেকে কোয়ালিটিফুল করা।
সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ভাইরাল না হয়ে দেশের এক্সামপ্ল হয়ে ভাইরাল হওয়া উত্তম।
আজকে থেকেই নোট করেন এই সময়ে কোন কোন স্কীলস বাড়ানো দরকার।
হতেপারে –
সফটস্কীলস, ইংরেজি, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, কন্টেন্ট রাইটিং, ব্লগিং, কোডিং, প্রেজেটেশন, কম্পিউটার অফিস প্রোগ্রাম সহ আরও অনেক কিছু। যেটা আপনার দরকার বা আপনার ভালো লাগে।
ধন্যবাদ পুরো টা পড়ার জন্য। এই লেখা পড়ার পরে আপনার উপকারে আসলে তখন ভালো লাগবে।
ওহ বিঃ দ্রঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন। ব্যাসিক বা যারা এডভান্স লেভেল শিখতে চান বা আগ্রহ আছে। গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার ক্ষেত্রে যাদের একান্তই ফাইনান্সিয়াল প্রব্লেম আছে তাদের জন্য স্কলারশীপ প্রোগ্রাম রয়েছে। Intern With Sabbir ফেসবুক গ্রুপ সব সময় সাপোর্ট এ আছে এবং থাকবে।
লেখাঃ সাব্বীর আহম্মেদ