
দুইটা কথা বলে রাখি:
ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ইমোশনহীন এবং ফিজিক্যালি……প্রজন্ম
যে টেকনোলজি আসছে দিন দিন এতে করে ডিভাইস, ইন্টারনেট ছাড়া চলা বড়ই মুশকিল।
আমরা যখন কেউ ডিভাইস নিয়ে বসি তখন আসে পাশে তুফান উঠলে টের ই পায় না ইভেন সময় কখন কোন দিক দিয়ে চলে যাচ্ছ সেটাও ঠিক পাই না।
এখন তো ভিশন প্রো আসছে যদিও এমন ডিভাইস আরো আগেই আসছে কিন্তু সকলের কাছে অ্যাভেলএবল না। ব্যাপার হচ্ছে মোবাইল, ট্যাব, ল্যাপটপ তো একটু দূরে থাকে আর এটা চোখের সাথে মিশে রাখতে হবে। বাইরের কোন কিছু সহজেই আচ করা মুশকিল।
টেকনোলজি আমাদের জীবন যাত্রা যত সহজ করে দিচ্ছে তেমন আবেগ, ইমোশন এবং প্রকৃতির সাথে সম্পৃক্ততা দিন দিন দূরে ঠেলে দিচ্ছে।
আগে গেইম খেলতো মাঠে এখন ডিভাইসে, সবাই মিলে গল্প করতাম চাঁদের আলোতে উঠানে খেজুর পাটি বিছিয়ে আর এখন গল্প হয় চ্যাটিং এ। এমন বললে অনেক বলা যাবে৷
দিন দিন ডিভাইস আর ইন্টারনেট এ আসক্ত হবার কারনে সন্তান বাবা-মা দের কথা শুনে না, স্বামী-স্ত্রী এর মধ্যে সম্পর্কের ফাটল, বন্ধু, আত্মীয় সজন দের সাথে ঘনিষ্ঠতা কমে যাচ্ছে ইত্যাদি ইত্যাদি।
দুইটা কথা বলে রাখি:
১. ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ইমোশনহীন এবং ফিজিক্যালি উইক একটা প্রজন্ম হবে যার কারণ ডিভাইস কেন্দ্রিক চলাফেরা কাজ কর্ম হবে। এক্সাম্পল মেটাভার্স।
২. বৃদ্ধাশ্রমে জায়গা থাকবে না। সব সময় ফুল হয়ে থাকবে। এটা সবাই বুঝেন কেন বলছি।
শুধু যে খারাপ দিকই আছে এটা না কিন্তু ভালো দিক ও আছে ।
-যাই হোক কিছুই করার নেই আমরা টেকনোলজির শিকার। তাই প্লান করেছি প্রথমে মাসে অন্তত একদিন পরিবারের সবাই মিলে ডিভাইস ফ্রি
-ডে কাটাবো। যেখানে কোন ডিভাইস ইন্টারনেট রাখবো না। তারপর ধীরে ধীরে সাপ্তাহিক একদিন যে দিন ছুটি কাটাবো সেদিন ডিভাইস ফ্রি ডে কাটাবো৷ শুধুই প্রকৃতির
– সাথে সময় কাটাবো। ক্যাশ টাকা লেনদেন করবো, বই পড়বো, ন্যাচারাল খাবার খাবো। পাখির কিচিরমিচির শুনবো। মাঠে খেলবো৷ কাদামাটির সাথে একটু সময় কাটাবো।
শুধু আমি না আসুন সকলে মিলেই এমন একটা সুন্দর দিন, মুহুর্ত কাটায় নিজেদের আপনজন দের সাথে
– দেখবেন শরির, মন দুটোই ভালো থাকবে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকতে পারবেন। এবং বন্ডিং ভালো থাকবে৷
সাব্বীর আহম্মেদ