
ঘুরেফিরে চাকরির বাজারে একটি কথা আজকাল প্রায়ই শোনা যায়—’কমিউনিকেশন স্কিল’, অর্থাৎ যোগাযোগের দক্ষতা। অনলাইনে বা অফলাইনে কার্যকর যোগাযোগের পদ্ধতি আপনার জানতেই হবে। আর জীবনে চলার পথে প্রতিটি ক্ষেত্রে কমিউনিকেশন স্কিলস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যার কমিউনিকেশন স্কিল যত ভালো সে ততো বেশি যুগপোযোগী এবং সবার প্রিয় হয়ে ওঠে ।
একটু সুন্দর ভাবে মিষ্টি কথা দিয়েই অনেক কঠিন কাজ খুব সহজেই সম্পন্ন করা যায়। দৈনন্দিন জীবনকে অনেক সহজ ও সুন্দর করে তুলতে পারে কমিউনিকেশন স্কিলস। তাই সফল হতে চাইলে অবশ্যই নিজের কমিউনিকেশন স্কিলস বাড়াতে হবে। পেশাদার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনের এক জরিপে দেখা গেছে, সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন ‘সফট স্কিল’গুলোর মধ্যে সবার ওপরে আছে ‘যোগাযোগ দক্ষতা’।
কমিউনিকেশন স্কিল বাড়ানোর ১০টি উপায়ঃ
১) মনযোগ দিয়ে সামনের ব্যক্তির কথা শোনা ।
২) কথা বলার সময় বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ঠিক রাখা ।
৩) সামনের ব্যক্তির কথা যে আপনি শুনছেন , কথার মাঝেই তার রেসপন্স করা।
৪) দ্রুত কথা না বলে ধীরে ধীরে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করা।
৫) কথা বলার সময় হাঁসি মুখে কথা বলা ।
৬) টাইমিং বুঝে কথা বলা।
৭) কথা বলার সময় আওয়াজ ঠিকঠাক আছে কিনা দেখা ।
৮) একটু খোলামেলা ভাবে মেশার চেষ্টা করা ।
৯) সামনের ব্যক্তির প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া ।
১০) কোনো কথাকে যুক্তি ও উদাহরণ দিয়ে সামনের জনকে বোঝানোর চেষ্টা করা ।
যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ানোর উপায়ঃ
ভালো শ্রোতা হওয়া
যোগাযোগ দক্ষতায় ভালো হতে হলে প্রথমেই আপনাকে একজন ভালো শ্রোতা হতে হবে। অনেকেই আছেন, যাঁরা কথা বলার সময় অপর প্রান্তের মানুষটির কথা শুনতে চান না। শুধু নিজেই বলে যান। এতে অপর পক্ষের মতামত বা তথ্যগুলো জানায় ঘাটতি থেকে যায়। ফলে, পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিমত ও অস্পষ্টতা তৈরি হয়।
আত্মবিশ্বাসী হওয়া
আপনি যে বিষয়ে বলছেন, সে সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে, সব তথ্য-উপাত্ত-পরিসংখ্যান জোগাড় করে, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উপস্থাপন করুন।
অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া
যাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, আপনাকে অবশ্যই তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। তাঁর কোনো কথা বা মতের সঙ্গে আপনি একমত না-ও হতে পারেন, কিন্তু অবশ্যই শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে।
যদি মনে করেন আপনার মতামতটি সঠিক, সে ক্ষেত্রে যুক্তি ও তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে বুঝিয়ে বলুন।
মুক্তমনা হওয়া
মনের জানালা সব সময় খোলা রাখুন। আপনার সঙ্গে কেউ মনের কথা ভাগাভাগি করতে যেন ইতস্তত বোধ না করে। আপনার থেকে বয়সে ছোট, পদে ছোট বা যোগ্যতায় ছোট—এমন লোকজনও যেন আপনার সঙ্গে নির্দ্বিধায় সব কথা বলতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে বা পরিবারে যখন মুক্তমনা হবেন এবং সবার কথা শুনবেন, তখন সেখান থেকে নতুন অনেক আইডিয়া পাবেন, অনেক ভুল–বোঝাবুঝির অবসান ঘটবে এবং সম্পর্কগুলো ভালো হবে।